এই হোম বাটনের সব থেকে বাম পাশে আছে Clipboard বার।
এই ক্লিক বোর্ডের মধ্যে পাবেন Paste, Cut , Copy and Format Painter অপশন।
Copy: এটি কোন ডমুমেন্ট হুবুহু কপি করতে ব্যবহার করা
হয়।
এর কি-ওয়ার্ড হলো-Ctrl+C ; কিবোর্ড থেকে
ctrl ও C এসাথে চাপলে কপি হয়।
ব্যবহারের নিয়মঃ প্রথমে যে লেখা বা ডকুমেন্ট কপি করতে হবে সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
তার পর কপি বাটন বা শটকাট টাপতে হবে।
Cut: এটি কোন ডুমুমেন্ট
হুবুহু কাটে নিতে ব্যবহার করা হয়।
এর কি-ওয়ার্ড
--> Ctrl+X
ব্যবহারের নিয়মঃ প্রথমে যে লেখা বা ডকুমেন্ট
কাট করতে হবে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। তার পর কাট বাটন বা শটকাট টাপতে হবে। চাপলেই সিলেক্টকৃত
ডকুমেন্টটি হারিয়ে যাবে। এর পর পেস্ট করলে সেটি সদয় হবে।
Paste: এটি কোনো কপি বা কাট কৃত ডকুমেন্ট কোথাও পেস্ট
করতে ব্যবহার করা হয়।
এর কি-ওয়ার্ড- Ctrl+V
ব্যবহার করার নিয়মঃ এটি ব্যবহারের
আগে আপনাকে অবশ্যই কোন ডকুমন্ট কপি বা কাট করতে হবে। তারপর যেখানে পেস্ট করতে হবে সেখানে
কার্সার নিয়ে paste বা শটকাট চাপলে সেখানে পেস্ট হয়ে যাবে।
Formate Painter: এটি সাধারনত কোন ডকুমেন্টের
ওপর বিভিন্ন কালার/ইফেক্ট ব্যবহার করা হলে সেই কালার বা ইফেক্ট অন্য ডকুমেন্টের ওপর
ব্যবহার করা করতে চাইলে এটি ব্যবহার করা হয়।
শটকাট- Ctrl+Shift+C
ব্যবহার করার নিয়মঃ প্রথমে যে ডকুমেন্টটির কালার বা ইফেক্ট নিতে চান সেটি সিলেক্ট করুণ। তার পর ফরমেট পেইন্টারে ক্লিক করুণ বা শর্টকাট কি চাপুন। এর দেখবেন কার্সারে একটি ব্রাশ/ঝাড়ু যুক্ত হবে। এর পর কার্সারে নিয়ে সেখানে বা যে ডকুমেন্টে এই ইফেক্ট ব্যবহার করবে সেটি সিলেক্ট করুণ। সাথে সাথে ফলাফল।
Font Bar:
Clipboard ডান পাশে থাকে ফন্ট বার । এর প্রথম বাটন টি হলো ফন্ট স্টাইল বাটন ।
এখানে ক্লিক করলে বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন ফন্ট স্টাইল আসবে তার মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন।
Font Size: এর পাশে রয়েছে ফন্ট সাইজ বাটন ।
এখানে ফন্ট সাইজ দিয়ে লেখার সাইজ ছোট বড় করা যায়।
ফন্ট সাইজের পাশে রয়েছে দুই টি বাটন । একটি Grow batton এবং Shrink Batton;
Grow batton: কোনো লেখা বা ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে এটিতে ক্লিক করলে লেখা বা ডকুমেন্ট সাইজ বড় হয়।
Shrink Batton: কোনো লেখা বা ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে এটিতে ক্লিক করলে লেখা বা
ডকুমেন্ট সাইজ ছোট হয় ক্রমান্বয়ে।
এর ডান পাশে রয়েছে change case নামক বাটন। এই শুধু মাত্র ইংরেজি
লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
১। sentence এর প্রথম শব্দের প্রথম অক্ষর বড় এবং sentence এর বাকি সব শব্দ ও অক্ষর ছোট অক্ষরের থাকবে।
২। sentence এর সকল অক্ষর ছোট ।
৩। sentence এর সকল অক্ষর বড় হয়ে যাবে।
৪। sentence এর প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের অক্ষর হবে এবং এ শব্দের
অন্য অক্ষর গুলো ছোট হাতের অক্ষর হবে।
৫। sentence এর প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর ছোট হাতের অক্ষর হবে এবং এ শব্দের
অন্য অক্ষর গুলো বড় হাতের অক্ষর হবে।
এর ডান পাশে পাবেন Clear formating
বাটন।
ব্যবহারের কারণ: কোন ডকুমেন্ট এর উপর থেকে সকল প্রকার কালার বা ইফেক্ট ব্যবহার
করা হয়েছিল যা আপনি সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেলে প্রথমে যেতে চান তবে এটি ব্যবহার করা যেতে
পারে।
ব্যবহারের নিয়ম: যে লেখা বা ডকুমেন্টের উপর থেকে কালার বা
effect সরাতে চান সেটি সিলেক্ট করে এখানে ক্লিক করলে আপনি আপনার লেখার বা ডকুমেন্টের
সম্পূর্ন পূর্বে স্থানে ফিরে যাবেন।
এবার চলে আসি ফন্ট/font বারের নিচের লাইনে-
এর সর্ব বামে রয়েছে-B অর্থাৎ bold অপশন। কোন লেখা বা ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে
এখানে ক্লিক করলে সেটি bold অর্থাৎ আগের থেকে লেখা মোটা দেখাবে।
I-ইটালিক
স্টাইল
এর ডান পাশে রয়েছে I অর্থাৎ ইটালিক বাটন। এই বাটনের মাধ্যমে লেখা বা ডকুমেন্টকে
ইটালিক স্টাইল বা লেখাকে হেলানো স্টাইল দেওয়া হয়।
U-আন্ডার লাইন
এর ডান পাশে রয়েছে আন্ডার লাইন বাটন। এখানে ক্লিক করলে বিভিন্ন ধরণের আন্ডার
লাইন আসবে।
ব্যবহারের নিয়মঃ লেখাকে highlight করতে অনেক সময় আন্ডার লাইন
ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহার করতে প্রথমে যে লেখাটি আন্ডারলাইন করতে হবে সেটি সিলেক্ট
করে আন্ডাল লাইন বাটনের যেকোন একটি স্টাইল সিলেক্ট করলেই সিলেক্টকৃত ডকুমেন্ট এর নিয়ে
আন্ডার লাইন চলে যাবে।
strikethrough:
এর সাধারনত লেখাকে “কাটা ” effect দেওয়া হয়। যেমন: abckde
ব্যবহার করা নিয়ম: যেলেখাকে এই ইফেক্ট দিতে হবে সেটি সিলেক্ট করে
strikethrough বাটনে ক্লিক করলে ই হবে।
subscript (x2)
এর পর রয়েছে subscript (x2) বাটন পাওয়া যাবে ।
এর কাজ হলো:কোন লেখাকে অন্য লেখার পায়ের কাছে নিয়ে যাওয়া। এটি সাধারণত গানিতিক
কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার করা নিয়ম: যেলেখাকে এই ইফেক্ট দিতে হবে সেটি সিলেক্ট করে
subscript বাটনে ক্লিক করলে ই সিলেক্টকৃত লেখাটি
পূর্বের লেখার পায়ের নিয়ে বা পায়ের কাছে চলে যাবে।
Superscript(X2):
এর কাজ হলো:কোন লেখাকে অন্য লেখার মাথার কাছে নিয়ে যাওয়া। এটি সাধারণত গানিতিক
কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহার করা নিয়ম: যেলেখাকে এই ইফেক্ট দিতে হবে সেটি সিলেক্ট করে
Superscript(X2) বাটনে ক্লিক করলে ই সিলেক্টকৃত লেখাটি পূর্বের লেখার পায়ের নিয়ে বা মাথার
কাছে চলে যাবে।
Text Effect:
এটি লেখা বা text কে বিভিন্ন স্টাইল দিতে ব্যবহার করা হয়। এটিতে অনেক ধরণের
লেখার স্টাইল রয়েছে। কোনো ডকুমেন্ট সিলেক্ট করে
এখানে যেকোন একটি স্টাইলে ক্লিক করলেই লেখার স্টাইল পরিবর্তন হয়ে যাবে। তবে
বাংলার ক্ষেত্রে কখনও কখনও সমস্যা হয় তবে ইংরেজি ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
text highlight color:
এটির মাধ্যমে কোনো লেখাকে highlight করা হয় বিভিন্ন রং এর মাধ্যমে । কোনো ডকুমেন্টকে
সিলেক্ট করে এখানে ক্লিক করে যে মনের মতো রং সিলেক্ট করে দিলেই সিলেক্টকৃত ডকুমেন্টটি
ঐ রং এ highlight হয়ে যাবে।
Font color:
এটি কোনো লেখা বা শব্দকে রং দিতে ব্যবহার করা হয়। কোনো লেখা বা ডকুমেন্ট সিলেক্ট
করে এখানে ক্লিক করে পছন্দের রং সিলেক্ট করলে সিলেক্টকৃত লেখা বা ডকুমেন্টটি ঐ রংএ
রঙিন হয়ে যাবে।
Paragraph Tool Bar:
এর টুল বার টি ব্যবহার করা হয় নিদিষ্ট প্রাগ্রাপ বা ডকুমেন্টকে সাজাতে।
Bullets tool:
Paragraph tool box উপরের সারিতে সর্ববামে
রয়েছে Bullets tool. এই টুলটি ব্যবহার করা হয় কোনো প্রাগ্রাফ বা লাইন এর আগে নিদিষ্ট
কিছু চিহ্ন দিতে। কোনো প্রাগ্রাফ বা লাইনকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে এটি ব্যবহার করা
হয়।
ব্যবহার করার নিয়ম: এটি দুইভাবে ব্যবহার করা যায়। যেমন:
১। যে লেখা বা ডকুমেন্টের আগে বুলেট বা চিহ্ন দিতে হবে সেটি লেখার আগে
Bullet tool এর ক্লিক করলে একটি বুলেট আসবে। তারপর বুলেট লাগলে বা Enter বোতাম চাপলেই
একটি করে bullet আসবে।
২। যে লাইন বা ডকুমেন্ট এর আগে বুলেট দিতে হবে সে লাইন বা প্রাগ্রাফ সিলেক্ট
করে bullet টুল সিলেক্ট করলেই অটোমেটিক প্রত্যেক লাইন যার শেষে Enter দেওয়া আছে সেই
লাইন বা প্রাগ্রাফ এর আছে আপনার সিলেক্টকৃত বুলেট চিহ্ন নিয়ে নেবে।